বাইক এক্সিডেন্ট পর্ব -২
আল্লাহতালার অশেষ রহমত ও আমার নানা-দাদা জানদ্বয়ের নেক নজর মনে হয় আমাদের উপর ছিল,বিশেষ করে আমাদের মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন ও মুরুব্বীদের দোয়া ছিল বলেই হয়তো অল্পের উপর দিয়ে আমরা বেচেঁ আসলাম, না হয় সীতাকুণ্ড রোড়ে যারা এক্সিডেন্ট করছে জীবিত ছিল এমন সংখ্যা খুবই কম( পরবর্তিতে সীতাকুন্ডের লোক মুখে শুনা) ,আমারা এক্সিডেন্ট করার ৩দিন পরেও অন্য একটা বাইক এক্সিডেন্ট হইছিল, আল্লাহর কি লীলা দুইজন স্পট ডেট অন্য জন্য গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছিল জানিনা পরবর্তিতে ঐ ভাইটির কি হয়েছিল , এইতো সেই দিনের ঘটনা কোরবানের পরের, ৩বন্ধু বাইক নিয়ে বিয়ের দাওয়াত খেতে গিয়ে সীতাকুন্ডে এক্সিডেন্টে নিহত হল, বেশ কিছু পত্রিকায়ও চাপা হয়েছিল খবরটা, সীতাকুণ্ড রোড়ে এরকম অহরহ এক্সিডেন্ট এর নিউজ আছে, আশেপাশের লোকের ভাষ্যনুযায়ী বেচেঁ যাওয়ার সংখ্যা খুবই কম, আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করে শেষ করতে পারবনা, বেচেঁ যাওয়া সৌভাগ্যবানদের মধ্যে আমরা দুইজন।
.
আমরা যখন আহত হয়ে পড়ে ছিলাম, তখন আশপাশ থেকে কিছু লোক ছুটে আসছে , দুই জনকেই ধরাধরি করে রাস্তার এক পাশে নিয়ে আসল, মহিকে আমার থেকে হাত পাঁচেক দূরে শুয়ে দিল, সে তখনো অজ্ঞান,আমাকে দুইজন লোক পিঠে ঠেস দিয়ে বসিয়ে রাখল, বাম পা আর বাম হাতের প্রচন্ড ব্যাথায় শুয়ে যেতে চাইলাম ওরা বলল শুয়া যাবে না,শুয়ে গেলে নাকি আমারই সমস্যা হবে, ইতোমধ্যে ৩০-৪০জন লোক জড়ো হয়ে গেল,কয়েকজন পানির বোতল নিয়ে আসল, একজন মহির মুখে পানি ছিটা দিল, হটাৎ মহি একটু নড়াচড়া করল, এবার বসিয়ে তার মাথায় পানি ঢালা হল। পানি দেখে আমার প্রচন্ড পিপাসা পেয়ে গেল,একজনকে বললাম ভাই একটু পানি খাব, ওরা কোন ভূমিকা ছাড়ায় বলে দিল পানি পান করা যাবে না, অনেক বুঝিয়ে বললাম বেশিনা এক ঢুক পান করব,তারা না এর উপরেই অটল থাকল, এবার বললাম আচ্ছা না হয় মাথায় পানি দেন বেশি করে ( প্রচন্ড রোদ, সময় মনে হয় তখন দুপুর বারটা,এর উপরে পিচ ঢালা রাস্তার তপ্ত ভাব গায়ে এসে লাগছে) পানির পিপাসা কোন অবস্থায় কমছে না, ওরা মাথায় পানি ঢালা শুরু করল আমিও গাল বেয়ে পাড়া নুনতা পানি একটু একটু পান করলাম, যাতে ওরা বুঝতে না পারে,এই অবস্থায় কিছুই করার ছিল না আমার।
.
মনে হল শরীরে কিছুটা শক্তি ফিরে এল , আশেপাশের শোরগোলও বেশ জমে উঠছে, কেউ কেউ বলছেন এদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিৎ,কেউ বলছনে ড্রাইভার শালার পুত কই!ওরে আগে সাইজ করা দরকার, এরই মধ্যে টহল পুলিশের এক লোক বাইকে করে চলে আসছেন, সে বলল একটু অপেক্ষা করতে হবে আমাদের স্যার আসতেছেন, একটু কোয়ারি করা দরকার, পুলিশের লোকটা আমার নাম কি? বাসা কোথায়! এখানে কি জন্য আসছি? ব্ল্যা ব্ল্যা একের পর এক প্রশ্ন করেই যাচ্ছেন,আমি কোন উত্তর দিচ্ছি না, ব্যাথা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে, এই মুহুর্তে কথা বলার মত শক্তি বা ইচ্ছে কোনটাই আমার নাই,তাই চোখ বন্ধ করে মুখ বুজে ঝিম মেরে রইলাম, যে লোকটা আমাকে ধরে রইল সে বলল "স্যার, ও খুব বেশি ব্যাথা পেয়েছে, মনে হয়না কথা বলতে পারবে" অগত্যা লোকটা মহির কাছে গিয়ে প্রশ্নবাণ শুরু করে দিল, মনে হল মহি উত্তর দিচ্ছে, এতো লোকের শোরগোলের মাঝে স্পষ্ট বুঝতে পারছি না মহি কি উত্তর দিচ্ছে, বেচারা মহির চেহারাটা রক্তাক্ত ও মলিন হয়ে আছে, রক্তের উৎস কোথায় বুঝতে পারছিনা,চিন্তা করতে গিয়ে আঁৎকে উঠলাম, কান দিয়ে পড়ছেনা তো!!! আমার এই অবস্থায় তাকে হাসপাতালে কিভাবে নিব! প্রায় ১০-১৫ মিনিট পর সীতাকুন্ডের পুলিশ ফাড়ি থেকে একটা গাড়ি এসে কি সব এন্ট্রি করে আমাদের হাসপাতালে নেয়ার অনুমিত দিল, শুধুমাত্র পুলিশের কারনেই এক্সিডেন্ট স্পটে ৩৫-৪০মিনিট হয়ে গেল, এই মুহুর্তে পৃথিবীর বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে পুলিশকেই সব চেয়ে ঘৃণ্য গোষ্ঠী মনে হতে লাগল।
.
ও হ্যাঁ, বলতেই ভুলে গেলাম আমাদের বাইক টা ধাক্কা লাগছিল কনফিডেন্স সিমিন্টের ট্রাকে, কোম্পানির একটা গাড়ী আসল প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য সীতাকুন্ড মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যাবে,হেটে যে গাড়ী তে উঠব ঐ অবস্থা আমার নাই,আশে পাশের মানুষ গুলোর কিছু কমেন্টপাস শুনতে পাচ্ছি, কেউ বলছেন আমাদের দোষ, আর কেউ বলছে ট্রাক ড্রাইভারের দোষ, আরেকজন হঠাৎ বলে উঠল আমারদের গাড়ীর স্পিড নাকি ২০০কি.মি ছিল !!! এটা শুনে এত ব্যাথার মঝেও প্রচন্ড হাসি পেল আমার, বাইকের স্পিড আবার ২০০কি.মি তাও আবার বাংলাদেশে? কেউ কেউ ট্রাক ওয়ালার উপরে ক্ষেপে আছেন, বলছে শালা গাঞ্জা খেয়ে ড্রাইভ করছিল, না হয় আশপাশ না দেখে কেউ গাড়ী ঘুরায় নাকি? এভাবে একেকজন একেক কথা বলেই যাচ্ছেন,তবে হ্যাঁ এখানেও কয়েকজন মানুষ সতর্ক ছিল,বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছিল আমাদের মোবাইল মানি ব্যাগ ঠিকঠাক আছে কিনা,মানুষ বিপদে পড়লে কেউ আসে সাহায্য করতে, আর কেউ আসে চুরি করতে,এটাই সত্য যে,এক্সিডেন্ট প্ল্যেসে এরকম অহরহ হয়ছে কম বেশি আমরা সবাই জানি।
.
আমাদের নেয়ার জন্য যে গাড়িটা আসছিল ওটার ড্রাইভার পাঁজাকোলা করে গাড়ীর সামনের সিটে আমাকে বসালেন , ব্যাথার ছুটে দাত মুখ খিচেই রইলাম। মহি উঠে হেটেই গাড়িতে আমার পাশেই বসল, আমার সেন্স ছিল ঠিকই, কিন্তু ব্যাথার কারনে কমন সেন্স কাজ করছিল না ( যেটার সরল বাংলা কিংকর্তব্যবিমূঢ় ছিলাম) যে ,এই মুহুর্তে কাউকে আমাদের এক্সিডেন্ট এর খবর টা জানানো উচিৎ, হেল্পার বলে উঠল আপনারা কি কাউকে খবর দিছেন? এটা শুনে মহি প্রথম ফোন দিল আমাদের ফ্রেন্ড #নাছির (বাশখালী বাড়ি তার,মহির ক্লাসমেট ছিল) কে,আমরা এই মুহুর্তে কোথায় আছি এটা নিশ্চিত করতে ফোন ধরিয়ে দিল হেল্পার কে,১০-১৫ মিনিট পর গাড়ী সীতাকুণ্ড মডার্ন হাসপাতালের সামনে চলে আসল, মহি গাড়ি থেকে নামল এবার আমি নামতে গিয়েই শুরু হল যন্ত্রনা, সেই দিনই বুঝতে পারলাম ব্যাথা কি জিনিস! কত প্রকার ও কি কি!! এটা এমন এক বাজে হাসপাতাল যাদের নাই রোগি নামানোর ইন্সট্রুমেন্ট ততা স্ট্রেচার,তাই বাধ্য হয়েই আগের লোকটার কাদে ভর দিয়েই ইমার্জেন্সি রুমে আমাদের ঢুকানো হল, খাটে শুয়ে মনে হল বড় ভাই #মুসলেহ উদ্দিন বদ্দারে খরবটা তো এখনো জানানোই হয় নাই,তাৎক্ষনিক ফোন দিলাম, এরই মধ্যে চাচাত ভাই #ইয়াছির ফোন দিল মহির মোবাইলে ( এর আগেও কয়েকবার ফোন করছিল,বাইক রানিং এ ছিল বলে রিসিভ করা হয়নাই),তাকেও জানানো হল আমাদের এক্সিডেন্টের খবর।
.
সময় তখন আড়াইটা কি পৌনে তিনটা বাজল, গড়িমসি করে প্রাথমিক ট্রিটমেন্টের নামে শুরু হল বিড়ম্বনা....... আহারে আমাদের দেশের প্রাইভেট হাসপাতাল এটা নাকি ইমার্জেন্সি রুম ...... এখানেও লোকজন জড়ো হওয়া শুরু করল।
চলমান......
.
আমরা যখন আহত হয়ে পড়ে ছিলাম, তখন আশপাশ থেকে কিছু লোক ছুটে আসছে , দুই জনকেই ধরাধরি করে রাস্তার এক পাশে নিয়ে আসল, মহিকে আমার থেকে হাত পাঁচেক দূরে শুয়ে দিল, সে তখনো অজ্ঞান,আমাকে দুইজন লোক পিঠে ঠেস দিয়ে বসিয়ে রাখল, বাম পা আর বাম হাতের প্রচন্ড ব্যাথায় শুয়ে যেতে চাইলাম ওরা বলল শুয়া যাবে না,শুয়ে গেলে নাকি আমারই সমস্যা হবে, ইতোমধ্যে ৩০-৪০জন লোক জড়ো হয়ে গেল,কয়েকজন পানির বোতল নিয়ে আসল, একজন মহির মুখে পানি ছিটা দিল, হটাৎ মহি একটু নড়াচড়া করল, এবার বসিয়ে তার মাথায় পানি ঢালা হল। পানি দেখে আমার প্রচন্ড পিপাসা পেয়ে গেল,একজনকে বললাম ভাই একটু পানি খাব, ওরা কোন ভূমিকা ছাড়ায় বলে দিল পানি পান করা যাবে না, অনেক বুঝিয়ে বললাম বেশিনা এক ঢুক পান করব,তারা না এর উপরেই অটল থাকল, এবার বললাম আচ্ছা না হয় মাথায় পানি দেন বেশি করে ( প্রচন্ড রোদ, সময় মনে হয় তখন দুপুর বারটা,এর উপরে পিচ ঢালা রাস্তার তপ্ত ভাব গায়ে এসে লাগছে) পানির পিপাসা কোন অবস্থায় কমছে না, ওরা মাথায় পানি ঢালা শুরু করল আমিও গাল বেয়ে পাড়া নুনতা পানি একটু একটু পান করলাম, যাতে ওরা বুঝতে না পারে,এই অবস্থায় কিছুই করার ছিল না আমার।
.
মনে হল শরীরে কিছুটা শক্তি ফিরে এল , আশেপাশের শোরগোলও বেশ জমে উঠছে, কেউ কেউ বলছেন এদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিৎ,কেউ বলছনে ড্রাইভার শালার পুত কই!ওরে আগে সাইজ করা দরকার, এরই মধ্যে টহল পুলিশের এক লোক বাইকে করে চলে আসছেন, সে বলল একটু অপেক্ষা করতে হবে আমাদের স্যার আসতেছেন, একটু কোয়ারি করা দরকার, পুলিশের লোকটা আমার নাম কি? বাসা কোথায়! এখানে কি জন্য আসছি? ব্ল্যা ব্ল্যা একের পর এক প্রশ্ন করেই যাচ্ছেন,আমি কোন উত্তর দিচ্ছি না, ব্যাথা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে, এই মুহুর্তে কথা বলার মত শক্তি বা ইচ্ছে কোনটাই আমার নাই,তাই চোখ বন্ধ করে মুখ বুজে ঝিম মেরে রইলাম, যে লোকটা আমাকে ধরে রইল সে বলল "স্যার, ও খুব বেশি ব্যাথা পেয়েছে, মনে হয়না কথা বলতে পারবে" অগত্যা লোকটা মহির কাছে গিয়ে প্রশ্নবাণ শুরু করে দিল, মনে হল মহি উত্তর দিচ্ছে, এতো লোকের শোরগোলের মাঝে স্পষ্ট বুঝতে পারছি না মহি কি উত্তর দিচ্ছে, বেচারা মহির চেহারাটা রক্তাক্ত ও মলিন হয়ে আছে, রক্তের উৎস কোথায় বুঝতে পারছিনা,চিন্তা করতে গিয়ে আঁৎকে উঠলাম, কান দিয়ে পড়ছেনা তো!!! আমার এই অবস্থায় তাকে হাসপাতালে কিভাবে নিব! প্রায় ১০-১৫ মিনিট পর সীতাকুন্ডের পুলিশ ফাড়ি থেকে একটা গাড়ি এসে কি সব এন্ট্রি করে আমাদের হাসপাতালে নেয়ার অনুমিত দিল, শুধুমাত্র পুলিশের কারনেই এক্সিডেন্ট স্পটে ৩৫-৪০মিনিট হয়ে গেল, এই মুহুর্তে পৃথিবীর বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে পুলিশকেই সব চেয়ে ঘৃণ্য গোষ্ঠী মনে হতে লাগল।
.
ও হ্যাঁ, বলতেই ভুলে গেলাম আমাদের বাইক টা ধাক্কা লাগছিল কনফিডেন্স সিমিন্টের ট্রাকে, কোম্পানির একটা গাড়ী আসল প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য সীতাকুন্ড মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যাবে,হেটে যে গাড়ী তে উঠব ঐ অবস্থা আমার নাই,আশে পাশের মানুষ গুলোর কিছু কমেন্টপাস শুনতে পাচ্ছি, কেউ বলছেন আমাদের দোষ, আর কেউ বলছে ট্রাক ড্রাইভারের দোষ, আরেকজন হঠাৎ বলে উঠল আমারদের গাড়ীর স্পিড নাকি ২০০কি.মি ছিল !!! এটা শুনে এত ব্যাথার মঝেও প্রচন্ড হাসি পেল আমার, বাইকের স্পিড আবার ২০০কি.মি তাও আবার বাংলাদেশে? কেউ কেউ ট্রাক ওয়ালার উপরে ক্ষেপে আছেন, বলছে শালা গাঞ্জা খেয়ে ড্রাইভ করছিল, না হয় আশপাশ না দেখে কেউ গাড়ী ঘুরায় নাকি? এভাবে একেকজন একেক কথা বলেই যাচ্ছেন,তবে হ্যাঁ এখানেও কয়েকজন মানুষ সতর্ক ছিল,বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছিল আমাদের মোবাইল মানি ব্যাগ ঠিকঠাক আছে কিনা,মানুষ বিপদে পড়লে কেউ আসে সাহায্য করতে, আর কেউ আসে চুরি করতে,এটাই সত্য যে,এক্সিডেন্ট প্ল্যেসে এরকম অহরহ হয়ছে কম বেশি আমরা সবাই জানি।
.
আমাদের নেয়ার জন্য যে গাড়িটা আসছিল ওটার ড্রাইভার পাঁজাকোলা করে গাড়ীর সামনের সিটে আমাকে বসালেন , ব্যাথার ছুটে দাত মুখ খিচেই রইলাম। মহি উঠে হেটেই গাড়িতে আমার পাশেই বসল, আমার সেন্স ছিল ঠিকই, কিন্তু ব্যাথার কারনে কমন সেন্স কাজ করছিল না ( যেটার সরল বাংলা কিংকর্তব্যবিমূঢ় ছিলাম) যে ,এই মুহুর্তে কাউকে আমাদের এক্সিডেন্ট এর খবর টা জানানো উচিৎ, হেল্পার বলে উঠল আপনারা কি কাউকে খবর দিছেন? এটা শুনে মহি প্রথম ফোন দিল আমাদের ফ্রেন্ড #নাছির (বাশখালী বাড়ি তার,মহির ক্লাসমেট ছিল) কে,আমরা এই মুহুর্তে কোথায় আছি এটা নিশ্চিত করতে ফোন ধরিয়ে দিল হেল্পার কে,১০-১৫ মিনিট পর গাড়ী সীতাকুণ্ড মডার্ন হাসপাতালের সামনে চলে আসল, মহি গাড়ি থেকে নামল এবার আমি নামতে গিয়েই শুরু হল যন্ত্রনা, সেই দিনই বুঝতে পারলাম ব্যাথা কি জিনিস! কত প্রকার ও কি কি!! এটা এমন এক বাজে হাসপাতাল যাদের নাই রোগি নামানোর ইন্সট্রুমেন্ট ততা স্ট্রেচার,তাই বাধ্য হয়েই আগের লোকটার কাদে ভর দিয়েই ইমার্জেন্সি রুমে আমাদের ঢুকানো হল, খাটে শুয়ে মনে হল বড় ভাই #মুসলেহ উদ্দিন বদ্দারে খরবটা তো এখনো জানানোই হয় নাই,তাৎক্ষনিক ফোন দিলাম, এরই মধ্যে চাচাত ভাই #ইয়াছির ফোন দিল মহির মোবাইলে ( এর আগেও কয়েকবার ফোন করছিল,বাইক রানিং এ ছিল বলে রিসিভ করা হয়নাই),তাকেও জানানো হল আমাদের এক্সিডেন্টের খবর।
.
সময় তখন আড়াইটা কি পৌনে তিনটা বাজল, গড়িমসি করে প্রাথমিক ট্রিটমেন্টের নামে শুরু হল বিড়ম্বনা....... আহারে আমাদের দেশের প্রাইভেট হাসপাতাল এটা নাকি ইমার্জেন্সি রুম ...... এখানেও লোকজন জড়ো হওয়া শুরু করল।
চলমান......
Comments
Post a Comment